এম এস ইসলাম, বিশেষ প্রতিনিধিঃ আন্তর্জাতিক লিও দিবস উদযাপন উপলক্ষ্যে লিও জেলা পরিষদ ৩১৫-বি১ বাংলাদেশের উদ্যোগে র্যালী, আলোচনা সভা ও স্কুলিং অনুষ্ঠিত হয়েছে।
৯ ডিসেম্বর, ২০১৬ইং শুক্রবার সকাল ৯ টায় ঢাকা ইউনিভার্সিটির টিএসসি চত্বর থেকে এক বর্ণাঢ্য র্যালী শাহবাগ মোড় প্রদক্ষিণ করে আন্তর্জাতিক লিও দিবসের আনষ্ঠানিকতা শুরু হয়।
টিএসসি চত্বরে র্যালির উদ্বোধন করেন, লিও জেলা পরিষদ ৩১৫-বি১ বাংলাদেশের ডিস্ট্রিক প্রেসিডেন্ট লিও এম. শাহাব উদ্দিন সাইফু। র্যালী পরবর্তী শাহবাগস্থ পাবলিক লাইব্রেরি এর সেমিনার কক্ষে আলোচনা সভা ও স্কুলিং অনুষ্ঠিত হয়।
আন্তর্জাতিক লিও দিবসে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, লিও জেলা পরিষদ ৩১৫-এ২ এর প্রাক্তন লিও ডিস্ট্রিক প্রেসিডেন্ট লিও সাজিদা ইসলাম পারুল, লিও ডিস্ট্রিক ভাইস প্রেসিডেন্ট লিও সোনিয়া আক্তার, লিও ডিস্ট্রিক সেক্রেটারি লিও মোহাম্মদ পারভেজ ও লিও জেলা পরিষদ ৩১৫-বি৪, বাংলাদেশের লিও ক্লাব অব চিটাগাং এর প্রেসিডেন্ট লিও শিহাব।
অনষ্ঠানে অতিথিরা বলেন, আজ থেকে প্রায় ৫৯ বৎসর পূর্বে ১৯৫৭ সালের ৫ই ডিসেম্বর আমেরিকার পেনসেলভিনিয়া অঙ্গরাজ্যে মাল্টিপল জেলা ১৪ এর অন্তর্গত সাব ডিস্ট্রিক্ট ১৪-কে এর অধীনে গঠিত হয় বিশ্বের সর্বপ্রথম লিও ক্লাব, ‘‘এভিংটন হাই স্কুল লিও ক্লাব” যার অভিভাবকত্বে ছিল গ্লেন সাইড লায়ন্স ক্লাব। তখন থেকে এভিংটন হাই স্কুলে বেসবল টিমের সদস্যদের নিয়ে বিশ্বের সর্বপ্রথম লিও ক্লাব গঠনের কাজ শুরু হয়। বেশ কয়েক বৎসর পর ১৯৬৩ সালে পেন-সেলভিনিয়াতে বিশ্বের দ্বিতীয় লিও ক্লাব ‘‘দি টামাকো লিও ক্লাব” গঠিত হয়। ১৯৬৭ সালের অক্টোবর মাসে লিও ক্লাবকে লায়ন্স ক্লাবের অফিসিয়াল প্রজেক্ট হিসাবে অনুমোদনের পর লিও ক্লাবের সংখ্যা আশাতীত বৃদ্ধি পায়। ফলশ্রুতিতে প্রথম বৎসরে ১৮টি দেশে ২০০টি লিও ক্লাব প্রতিষ্টিত হয়। আমাদের দেশে ১৯৭৩ সালে লিওইজম আত্মপ্রকাশ করে। আনন্দের বিষয় লিও ক্লাবের সংখ্যার দিক দিয়ে বাংলাদেশ পৃথিবীতে সপ্তম স্থানে আছে, আর বর্তমানে বিশ্বের ২১০টি দেশে লায়ন্স ক্লাবের মাধ্যমে লিও ক্লাব পরিচালিত হচ্ছে।
অতিথিরা আরো বলেন, অনেক রক্ত ও ত্যাগ তিতীক্ষার মাধ্যমে ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর আমাদের প্রিয় মাতৃভূমি সবুজ শ্যামলীমা বাংলাদেশ স্বাধীন সার্বভৌম দেশ হিসাবে পৃথিবীর মানচিত্রে গৌরব জনক স্থান অর্জন করে। যুদ্ববিধস্থ সদ্য স্বাধীন দেশে যুবকদের মাঝে বিরাজ করছিল অস্থিরতা ও চরম হতাশা। জাতির উজ্জল ভবিষ্যৎ যুব সমাজকে সঠিক পথে পরিচালিত করতে সেবার জগতে তাদের অনুপ্রানিত করতে মনস্থ করলেন মরহুম লায়ন আব্দুল জব্বার খাঁন। মানব সেবায় অনুপ্রানিত মরহুম লায়ন আব্দুল জব্বার খাঁনের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় বাংলাদেশে আন্তর্জাতিক সেবা সংগঠন লায়ন্স ক্লাবের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক যুব সেবা সংগঠন ‘‘লিও ক্লাব” আত্মপ্রকাশ করে।
লিওরা প্রতিনিয়ত সমাজের দুঃস্থ ও দারিদ্রপিড়ীত মানুষকে সেবা দিয়ে যাচ্ছে। সমাজের সুবিধা বঞ্চিত মানুষের সাহায্যার্থে লায়ন এবং লিওরা সবসময় পাশে দাড়িয়েছে। আমাদের লিও সদস্যবৃন্দ লায়ন্স ক্লাবের সাথে যৈাথভাবে প্রতিদিন কোন না কোন এলাকায় স্বেচ্ছায় রক্তদান কর্মসূচী, ডেন্টাল ক্যাম্প, শিক্ষা উপকরন বিতরন, বৃক্ষরোপন কর্মসূচী, চক্ষু পরীক্ষা ও সার্জিকেল আই ক্যাম্পের আয়োজন করছে এবং অন্ধত্ব নিবারনে লিওরা বিশেষ খ্যাতি অর্জন করেছে।
এছাড়াও অনষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, লিও ক্লাব প্রেসিডেন্ট লিও উত্তম কুমার ত্রিপুরা, লিও নাফিজ ইমরান, লিও মোঃ মহিউদ্দিন মাহি, লিও তৈয়বুর রহমান তুহিন, লিও খোরশেদ আলম সৌরভ, লিও এম.জে. সৌরভ, লিও আশরাফুল ইসলাম সিজান সহ বিভিন্ন লিও ক্লাবের প্রায় দেড় শতাধিক লিও সদস্যবৃন্দ।
অগ্রদৃষ্টি.কম // এমএসআই